খেয়াঘাটে ময়লার ভাগাড়, দূষিত হচ্ছে পানি ও পরিবেশ

  শ্রীপুর (গাজীপুর) সংবাদদাতা  বৃহস্পতিবার | জুন ১৭, ২০২১ | ১২:৫১ এএম

  
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী বরমী বাজারের খেয়াঘাটে নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে বর্জ্য। এসব বর্জ্য গড়িয়ে নদীর পানিতে মিশে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি ও পরিবেশ। খেয়াঘাটটিকে দেখলে মনে হয় যেন ময়লার ভাগার। দেখার কেউ নেইবরমী হতে আশপাশের কয়েকটি উপজেলায় যাতায়াতের জন্য নদীপথে লঞ্চ এবং নৌকা এলাকাবাসির একমাত্র বাহন। আর ব্যবসায়ীদের যাবতীয় মালামাল আনা-নেওয়া করা হয় নৌকায় বা লঞ্চে। খেয়াঘাটে ফেলা ময়লার দূর্গন্ধ এবং নদী দূষণের কারণে নদীপথের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।স্থানীয় লোকজন জানান,বরমী বাজারে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠা বেসরকারি ক্লিনিকের ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা কাঁচা বাজারের ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলে দেন। এ কারণে নদীর পানি দূষিত হয়ে পড়ছে। নদীতে বর্জ্য ও ময়লার স্তূপ থাকায় দুর্গন্ধে পানির কাছে যাওয়া যায় না। তাদের দাবি, ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বরমী বাজারে খেয়াঘাটের সামনেই একজন ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারের কিছু লোক তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ক্লিনিক ও বাজারের বর্জ্য এই খেয়াঘাটেই ফেলছে। এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। ময়লার দুর্গন্ধের কারণে দোকানে বসে থাকা যায়না।খেয়াঘাটের মাঝি লাল মিয়া জানান, শীতলক্ষ্যা আর আগের মতো নেই। ময়লা পচার দুর্গন্ধে নাজেহাল অবস্থায় আছি। এখন যে অবস্থা মাঝিগিরিও ছেঁড়ে দিতে হবে।উপজেলার বরমী বাজারে কয়েকটি ক্লিনিকের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা শীতলক্ষ্যা নদীর খেয়া ঘাটে বর্জ্য ফেলার কথা অস্বীকার করেন। নদী পরিব্রাজক দলের শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাইদ চৌধুরী বলেন, নদী রক্ষায় আইন থাকলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাবে শীতলক্ষ্যা এখন দূষণের কবলে। প্রশাসনকে বিষয়টি তাড়াতাড়ি আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিবেশবিদেরা যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেন তাহলে শুধু শীতলক্ষ্যা নদী নয়, বেঁচে যাবে ছোট বড় সকল নদী। তাছাড়া নদী রক্ষায় বিভিন্ন অধিদপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে।গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সালাম সরকার বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না আমরা পরিদর্শনে যাব সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলবো।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ক্লিনিকের বর্জ্য নদীতে না ফেলার জন্য ক্লিনিক মালিকদের সাথে কথা বলা হবে। তারপরও কেউ ময়লা ফেললে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।